রবিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৫, ০১:৫৮ পূর্বাহ্ন
মোঃ ইসলাম হোসেন, জেলা প্রতিনিধি সিরাজগঞ্জ::
সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার হাবিবপুড় গ্রামে গত ০১/১২/১৮ইং গভীর রাতে নিজ ঘরে ঘুমন্ত সুফিয়া বেগম (৫০) কে ইট দিয়ে মাথা থেতলে দেয় দুর্বৃত্তরা। রক্তাক্ত অবস্থায় পরিবারের লোকজন গ্রামবাসীরা শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালে নিয়ে গেলে চারদিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় ০৫/১২/১৮ সুফিয়া বেগম মারা যায়।
এরপর হাসপাতাল থেকে বাড়ীতে আনলে সলঙ্গা থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ ফজিলাতুন্নেছা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের নিকট সুফিয়া বেগমের লাশ হস্তান্তর করলে ঐ দিন রাতেই তরিঘড়ি করে গ্রামের কবরস্থানে তাকে দাফন করে। এঘটনায় নিহত সুফিয়ার স্বামী আব্দুর রাজ্জাক (৫৫) একই গ্রামের মৃত সরবত আলীর ছেলে হামজায়ালা (৩৫) সহ অজ্ঞাত কয়েক জনকে আসামী করে সলঙ্গা থানায় ০৬/০১২/১৮ ইং তারিখে ৩০২/৩৪ ধারায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।
সুফিয়া বেগম হত্যার দীর্ঘ সময় পার হলেও মামলাটির কোন অগ্রগতি হয়নি বলে নিহতের ছেলে সুরমান, মেয়ে কহিনুর বেগম, ভাবী ফরিদা খাতুন সংবাদদাতাকে বলেন, আব্দুর রাজ্জাক বাদী হয়ে যে মামলাটি করেছে সেটা মিথ্যে। মুলত আমার সৎ বাবা আব্দুর রাজ্জাক নিজেই বিভিন্ন সময় আমার মা সুফিয়ার উপর পাশবিক ও শারীরিক নির্যাতন করেছে এবং বিভিন্ন সময় আমার মাকে হত্যার হুমকি দিয়েছে, আমার সৎ বাবা আব্দুর রাজ্জাক ও তার ভাতিজারা মিলে আমার মাকে হত্যা করে, আর হামজালাকে অন্যায় ভাবে ফাসিয়ে সে নিজে বাঁচার চেষ্টা করছে।
এ বিষয়ে নিহত সুফিয়ার ছেলে সুরমান(৩৫), এরশাদ(২৬), মেয়ে কহিনুর বেগম (২৩), ভাবী ফরিদা খাতুন (৪৮) অভিযোগ করে বলেন, সুফিয়া হত্যার পর থেকে হত্যাকারী আব্দুর রাজ্জাক ও তার পরিবারের লোকজন আমাদের মুখ বন্ধ রাখতে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিচ্ছে। সুফিয়া হত্যার ব্যাপারে কোন কথা বললে মা সুফিয়ার ন্যায় পরিনতি হবে বলে আমাদের শাসাচ্ছেন। এখন আমরা নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছি।
মুঠোফোনে সুফিয়া বেগম হত্যা মামলার ব্যাপারে সলঙ্গা থানার ভারপাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জেড জেড তাইজুল হুদার কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, সুফিয়া হত্যা মামলাটিতে এখনও কাউকে আটক করা হয়নি।মামলার তদন্ত চলছে।